তাবিজ সম্পর্কে এভাবে কেউ আগে বলে নি | জামশেদ মজুমদার | Jamshed Mojumder

দাওয়াহ' - Da'waah
দাওয়াহ' - Da'waah
954.5 هزار بار بازدید - 3 سال پیش - তাবিজ নিয়ে অসাধারণ আলোচনা...ইসলাম একটি
তাবিজ নিয়ে অসাধারণ আলোচনা..
.
ইসলাম একটি সার্বজনীন পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। এতে কোন কিছু সংযোজন-বিয়োজনের সুযোগ নেই। এটা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর জীবদ্দশায় পূর্ণতা লাভ করেছে। বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা সম্পর্কে ইসলাম পরিপূর্ণ রূপরেখা তুলে ধরেছে। সাথে সাথে তাবীয জাতীয় জিনিস ব্যবহার নিষেধ করেছে। বরং একে শিরক বলে আখ্যায়িত করেছে। রোগ মুক্তির আশায় তামার বালা অথবা অষ্টধাতুর আংটি ব্যবহার করাও শিরক। গাভীকে যে কোন ক্ষতি থেকে বাঁচানোর উদ্দেশ্যে গাভীর গলায় চামড়া ব্যবহার করা, বালা-মুছীবত থেকে বাঁচার জন্য সাদা কড়ি চুলে বেঁধে ব্যবহার করা, বাচ্চাকে শয়তানের ক্ষতি থেকে রক্ষা করার আশায় কালো সূতায় গিরা দিয়ে ব্যবহার করা, বাচ্চা যেন না মরে এ আশায় কান ফুঁড়িয়ে রিং ব্যবহার করা এবং যে কোন উদ্দেশ্যে তাবীয ব্যবহার করা ইত্যাদি স্পষ্ট শিরক! পক্ষান্তরে তিনি যদি তোমার কল্যাণ দান করেন তবে তিনিই তো সর্ববিষয়ে ক্ষমতাবান’ (আন‘আম ৬/১৭)। তিনি আরো বলেন, ‘আল্লাহ যদি তোমাকে কষ্ট দেন, তাহ’লে তিনি ব্যতীত তা মোচনকারী আর কেউ নেই; আর যদি আল্লাহ তোমার মঙ্গল চান তাহ’লে তাঁর অনুগ্রহ রদ করারও কেউ নেই। তাঁর বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা তিনি মঙ্গল দান করেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’ (ইউনুস ১০/১০৭)। তিনি আরো বলেন, ‘বল, তোমরা ভেবে দেখেছ কি, যদি আল্লাহ আমাকে কষ্ট দেয়ার ইচ্ছা করেন, তবে তোমরা আল্লাহ্কে ছেড়ে দিয়ে যাদেরকে ডাক তারা কি সে কষ্ট দূর করতে পারবে? অথবা তিনি আমার প্রতি রহমত করার ইচ্ছা করলে তারা কি সে রহমত রোধ করতে পারবে? বল, আমার জন্য আল্লাহ্ই যথেষ্ট। নির্ভরকারীরা তাঁরই উপর নির্ভর করে’ (যুমার ৩৯/৩৮)। অন্যত্র তিনি বলেন, ‘তোমরা যে সমস্ত অনুগ্রহ ভোগ কর তা তো আল্লাহরই নিকট হ’তে, আবার যখন দুঃখ-দৈন্য তোমাদের স্পর্শ করে তখন তোমরা তাঁকেই ব্যাকুলভাবে আহবান কর। আর যখন আল্লাহ তোমাদের দুঃখ-দৈন্য দূরীভূত করেন তখন তোমাদের একদল তাদের প্রতিপালকের সাথে শরীক করে’ (নাহাল ১৬/৫৩-৫৪)। অতএব আল্লাহ তা‘আলা বান্দার কল্যাণ না করলে কেউ তা করতে পারবে না। আবার তিনি কারো ক্ষতি করলে কেউ তা রোধ করতে পারবে না। অতএব তাবীয বা শরী‘আত পরিপন্থী ঝাড়-ফুঁক মানুষের রোগ নিরাময়ের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নয়। বরং এর দ্বারা পরকালে ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হ’তে হবে!
.
যে কোন প্রকারের তাবীয ব্যবহার করা শিরক। আর পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় গুনাহ হ’ল শিরক। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই শিরক বড় অপরাধ’ (লুক্বমান ৩১/১৩)। আর শিরককারীর জন্য জান্নাত হারাম। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে অংশীদার স্থাপন করে আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করেছেন এবং তার বাসস্থান হচ্চে জাহান্নাম’ (মায়িদাহ ৫/৭২)। ঝাড়-ফুঁকের ক্ষেত্রে লক্ষ্য করতে হবে তা শরী‘আত সম্মত কি-না। কেননা ঝাড়-ফুঁকের বিষয়ে বৈধ-অবৈধ দু’ই রয়েছে। সঠিক পন্থায় ঝাড়-ফুঁক গ্রহণ করলে কোন অসুবিধা নেই। পক্ষান্তরে বেঠিক পন্থায় ঝাড়-ফুঁক গ্রহণ করা বড় ধরনের পাপ। বিধায় ঝাড়-ফুঁকের মাধ্যমে চিকিৎসা নেয়ার সময় তা বৈধতা নিশ্চিত হয়ে গ্রহণ করতে হবে। আল্লাহ আমাদের সহায় হোন-আমীন!
________________________________
Don't forget to SUBSCRIBE:
dawaah_bd
________________________________
Enjoy & Stay CONNECTED with us!
.
http://bit.ly/Facebook_dawaah
http://bit.ly/Instagram_dawaah
http://bit.ly/Snapchat_dawaah
http://bit.ly/Telegram_dawaah
http://bit.ly/Pinterest_dawaah
http://bit.ly/S-Cloud_dawaah
http://bit.ly/Twitter_dawaah
http://bit.ly/TikTok_dawaah
_______________________________
3 سال پیش در تاریخ 1400/10/30 منتشر شده است.
954,583 بـار بازدید شده
... بیشتر