গুটেনবার্গ এর বর্ণময় জীবন কাহিনী | Johannes Gutenberg | জীবনী | Bangla

Ami Avijit Bolchi
Ami Avijit Bolchi
1.6 هزار بار بازدید - 5 ماه پیش - ১৪০০ খ্রিস্টাব্দের ২৪ জুন, যে
১৪০০ খ্রিস্টাব্দের ২৪ জুন, যে তারিখটিকে বইয়ের পাতায় গুটেনবার্গের জন্মসাল হিসেবে লেখা হয়, তা কিন্তু তার প্রকৃত জন্মসাল নয়। জার্মানির মাইনজ শহরে ১৩৯৪ থেকে ১৪০৪ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে কোনো এক সময় জন্মগ্রহণ করেছেন এই মহান উদ্ভাবক। ১৮৯০ সালের দিকে মাইনজ শহর কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন ঐতিহাসিক দলিল ঘেঁটে, তার একটি প্রতীকী জন্মসাল নির্ধারণ করে দেন, যা বিশ্বব্যাপী প্রচলিত হয়। যা-ই হোক, গুটেনবার্গের বাবা ফ্রায়েল জেনসফ্লেইখ খুব সম্ভবত একজন স্বর্ণকার ছিলেন, যিনি একইসাথে কাপড়ের ব্যবসা করতেন এবং রাজকীয় টাকশালে কাজ করতেন। বাবার কাছে বংশপরম্পরায় স্বর্ণকারের কাজ শিখেছিলেন গুটেনবার্গ। তার মা এলসে উইরিখ সম্ভবত ফ্রায়েলের দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন। জোহানেস গুটেনবার্গের নামের সাথে ‘গুটেনবার্গ’ শব্দটি সম্ভবত তার বাড়ির নাম থেকেই যুক্ত হয়। তখন জার্মানিতে বংশগত ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে বাড়ির নামই হতো বাড়ির পুরুষের পদবি। গুটেনবার্গদের বাড়ির নাম ছিল ‘জু গুটেনবার্গ’। গুটেনবার্গের শৈশব সম্পর্কে প্রায় কিছুই জানা যায় না। ইতিহাসের বিভিন্ন উৎসে তার শিক্ষাজীবনের যে সকল বর্ণনা পাওয়া যায়, সেগুলোর মধ্যে কোনো সামঞ্জস্য নেই। খুব সম্ভবত আরফুর্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন তিনি। এরপর স্ট্র্যাসবুর্গ শহরে গিয়ে বসবাস করতে শুরু করেন। কিন্তু ঠিক কী কারণে শহর পরিবর্তন করেছিলেন তা জানা যায় না। ১৪৩৪ সালে তারই লেখা একটি চিঠি থেকে জানা যায় যে, তার স্ট্র্যাসবুর্গ শহরে কয়েকবছর স্বর্ণকারের কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে । মূল্যবান পাথর কাঁটা এবং সেগুলো পালিশ করার কাজও করেন কিছুকাল। তবে এসব কাজ তিনি কোথায়, কীভাবে শিখেছিলেন তা জানা যায় না।আভেন্টুর উন্ড খুনস্ট’ (জার্মান) যার অর্থ ‘উদ্যম এবং শিল্প’। সক্রিয় ছাপাখানা আবিষ্কার নিয়ে নিজের গবেষণার এই নামই দিয়েছিলেন গুটেনবার্গ, যা মানুষের মনে যথেষ্ট রহস্যের সৃষ্টি করে। অবশ্য তার ইচ্ছাই ছিল ব্যাপারটা রহস্যাবৃত করে কিছুটা অতিরঞ্জিত করা! তবে এর একটা পটভূমি তো আছেই। ১৪৩৯ খ্রিস্টাব্দে গুটেনবার্গ গিয়েছিলেন স্ট্র্যাসবুর্গের আচেন শহরে। এখানে প্রতিবছর হাজারো মানুষ তীর্থযাত্রায় আসতো বিভিন্ন পবিত্র স্থান ভ্রমণ করতে। এ ভ্রমণকারীদের মধ্যে একটি কুসংস্কার প্রচলিত ছিল। তা হচ্ছে এই যে, আয়নায় তীর্থস্থানের পবিত্র বস্তুসমূহের আলো প্রতিফলিত করে কোনো বাক্স সদৃশ কিছুর মধ্যে ফেলে তা পবিত্রতা এবং আধ্যাত্মিক শক্তিতে পরিপূর্ণ করা যায় এবং বহন করে বাড়ি নিয়ে আসা যায়! এই বিশ্বাস থেকে তারা কপালে আয়না লাগিয়ে রাখতো। তাই তীর্থযাত্রার সময় হলেই প্রতিবছর আচেনে আয়নার চাহিদা বেড়ে যেত ব্যাপকভাবে। তাই আয়না বিক্রয় করে কিছু মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে আচেনে চলে আসেন গুটেনবার্গ। এক ধনী বিনিয়োগকারীর অর্থে ব্যাপক পরিমাণে আয়না প্রস্তুত করেন। #biography #viralvideo #information #bangla #gutenbarg #scince #podcast
5 ماه پیش در تاریخ 1403/01/17 منتشر شده است.
1,620 بـار بازدید شده
... بیشتر