ঢাকা বিশ্ববিদ্যাল​য়ের সুন্দর স্থাপত্যগুলো | হেরিটেজ | ঢাকা বিশ্ববিদ্যাল​য় | Dhaka Heritage Places

Traveler Dipanjan Das
Traveler Dipanjan Das
375 بار بازدید - 4 ماه پیش - Like.. Share.. SUBSCRIBE
Like.. Share.. SUBSCRIBE ‪@heritage_traveling‬

শিক্ষা, সংস্কৃতি, মুক্তিযুদ্ধ, প্রগতি ইত্যাদি নানান বিষয়ে ঢাবি সবসময় আলোচনায় থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়টির আরেকটি গুরুত্বপুর্ণ দিক রয়েছে আর তা হলো "হেরিটেজ স্থাপত্য"। এই ভিডিওতে থাকছে  ঢাবিতে অবস্থিত সকল ঐতিহাসিক স্থাপত্যগুলো। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ঢাবিতে অবস্থিত সকল ঐতিহাসিক সমাধিগুলো (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯টি হেরিটেজ সমাধি...)  নিয়ে আমরা ইতোমধ্যে আরেকটি ভিডি আপলোড করেছি।

Video Timestamp for easy tracking:
1. Curzon Hall- 0:46
2. Nimtali Deuri- 1:57
3. Guruduwara Nanak Shahi- 2:39
4. Musa Khan Mosque- 3:36
5. Jagannath Hall- 4:08
6. Dr. Muhammad Sahidullah Hall- 4:51
7. Baro Duari Bhaban- 5:29
8. Salimullah Muslim Hall (S M Hall)- 6:08
9. Madhur Canteen- 6:45
10. Fazlul Huq Muslim Hall (F H Hall)- 7:25
11. Sree Sree Bura Shiv Dham - 8:01
12. Bardhaman House (Bangla Academy)- 8:46
13. Mir Jumla Gate- 9:23
14. Bibi Morium Canon- 10:00

১.কার্জন হল: কার্জন হল  বাংলাদেশের অন্যতম আইকনিক হেরিটেজ স্থাপত্য। । ব্রিটিশ ও মোঘল স্থাপত্য রীতির দৃষ্টিনন্দন সংমিশ্রণ। শিক্ষার প্রসার ও বড়লাট বাহাদুরের ঢাকা আগমন উপলক্ষে ভাওয়ালের এস্টেটের রাজকুমারগণ কার্জন হল নামে একটি সাধারণ পাঠাগার নির্মাণে সেসময় দেড় লক্ষ টাকা দান করেন।

২.নিমতলী দেউরী: নিমতলী দেউড়ি বাংলাদেশের ঢাকায় অবস্থিত একটি খিলান, যা মুঘল আমলের একটি নিদর্শন। এটি মুঘল সাম্রাজ্যের সুবাহ বাংলার ডেপুটি গভর্নর ঢাকার নায়েব নাজিমের প্রাসাদের প্রবেশদ্বার ছিল। বর্তমানে এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশের প্রাঙ্গনে অবস্থিত একটি জাদুঘর।

৩.গুরুদুয়ারা নানক শাহী: ""গুরুদুয়ারা নানকশাহী"" বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরে অবস্থিত শিখ ধর্মের একটি উপাসনালয়। এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের কলা ভবনের পাশে অবস্থিত। এই গুরুদুয়ারাটি বাংলাদেশে অবস্থিত ৭ টি গুরুদুয়ারার মধ্যে বৃহত্তম।

৪.মুসা খান মসজিদ: মুসা খাঁর মসজিদ বাংলাদেশের ঢাকা শহরে অবস্থিত ছায়া সুনিবিড়, মোগল স্থাপত্যের অনুকরণে নির্মিত মসজিদ। এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর শহীদুল্লাহ হল ছাত্রাবাসের নিকটে ও কার্জন হলের পিছনে অবস্থিত। ধারণা করা হয় যে, এই মসজিদটি ঈসা খাঁর পুত্র মুসা খান নির্মাণ করেন ১৬০০ সালের সময়ে।

৫.জগন্নাথ হল: জগন্নাথ হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়সহ উপজাতি ছাত্রদের জন্য সংরক্ষিত হল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময় যে তিনটি হল নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল জগন্নাথ হল তার একটি। মানিকগঞ্জের বালিয়াটির জমিদার শ্রী কিশোরীলাল চৌধুরীর পিতা শ্রী জগন্নাথ রায় চৌধুরীর নামে এই হলের নামকরণ করা হয়।

৬.ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ হল: ড. মুহম্মদ শহীদুলাহ্ হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরুর সময়ে প্রতিষ্ঠিত তিনটি আবাসিক হলগুলির একটি। এটি কার্জন হলের পিছনে অবস্থিত এবং এখানে থাকার জন্য দুটি সম্প্রসারিত ভবনসহ একটি প্রধান ভবন রয়েছে।

৭.বার দুয়ারী ভবন: বার দুয়ারী ভবন একটি ঐতিহাসিক ভবন। এর অভ্যন্তরে চারপাশ ঘিরে ১২টি দুয়ার থাকায় নাম বার দুয়ারী। ভবনটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অমর একুশের হলের আবাসিক শিক্ষকদের বসবাসের স্থান হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। প্রখ্যাত প্রত্নতত্ত্ববিদ শ্রী নলিনীকান্ত ভট্টশালী ছিলেন ঢাকা জাদুঘরের প্রথম কিউরেটর।  

৮.সলিমুল্লাহ মুসলিম হল: সলিমুল্লাহ মুসলিম হল নবাব স্যার খাজা সলিমুল্লাহ বাহাদুরের নামানুসারে নামকরণ করা হয়েছে। বাংলাদেশে ব্রিটিশ স্থাপত্যের অন্যতম নিদর্শন এই হল সেই সাথে একটি হেরিটেজ স্থাপনাও বটে। ভবনটির স্থাপত্যশৈলী যে কাউকে মুগ্ধ করবে।

৯.মধুর ক্যান্টিন: প্রয়াত মধুসূদন দে'র স্মৃতি স্মরণে স্থাপিত একটি বিখ্যাত রেস্তোরাঁ। ১৩৭৯ বঙ্গাব্দের ২০শে বৈশাখ ক্যান্টিনটি প্রতিষ্ঠিত হয়। রাজনীতি, সংস্কৃতি চর্চা এবং আড্ডার জন্য মধুর ক্যান্টিনের আলাদা খ্যাতি রয়েছে। ক্যান্টিনটির সামনেই মধুসূদন দে'র একটি ভাস্কর্য রয়েছে।  ক্যান্টিনের বর্তমান স্থাপনাগুলো ঢাকার নবাবদের সময়কাল আমলে নির্মিত হেরিটেজ স্থাপত্য।

১০.ফজলুল হক মুসলিম হল: ফজলুল হক মুসলিম হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রাচীন আবাসিক হল। এই হল ১৯৪০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং অবিভক্ত বাংলার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শের এ বাংলা একে ফজলুল হকের নামে এর নামকরণ করা হয়। ফজলুল হক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় প্রধান ভূমিকা পালন করেছিলেন। ভাষাবিদ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলের প্রথম প্রাধ্যক্ষ ছিলেন।

১১.শ্রী শ্রী বুড়া শিব ধাম: টিএসসির পেছনে শিববাড়ী এলাকায় রয়েছে কয়েক শতাব্দী প্রাচীন এই মন্দির ধাম।  এই মন্দির কমপক্ষে ৩৫০/৪০০ বছরের পুরাতন। নির্মানশৈলি অসাধারণ। মন্দিরে প্রবেশের মুল ফটকের গড়ন অনেকটা জমিদারী ধাঁচের বাসার মতন।  ১৯১২ খ্রিস্টাব্দে এক ঝড়ে মন্দির ভবন বিধ্বস্ত হয়৷ তখন বর্ধমান জেলার শিবভক্ত রাজা স্যার বিজয় চাঁদ মহতব মন্দিরটির বর্তমান কাঠামো নির্মান করেন।

১২.বর্ধমান হাউজ (বাংলা একাডেমী ভবন): ১৯০৬ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা যখন প্রাদেশিক রাজধানীতে পরিবর্তিত হয়, তখন এই ভবনটি তৈরি করা হয়েছিল প্রশাসনিক উচ্চ পদস্থ ব্যক্তিদের অস্থায়ী আবাস স্থল বা বাংলো হিসেবে ব্যবহারের জন্য।  বর্ধমানের মহারাজা স্যার বিজয় চাঁদ মহতব ঢাকায় বছরে অন্তত একবার আসতেন আর এই ভবনে রাজকীয় অতিথি হিসেবেই বাস করতেন। কালক্রমে এই ভবনটির নাম বর্ধমান হাউজ নামে পরিচিতি লাভ করে।

১৩. মীর জুমলা গেইট: মীর জুমলার গেইট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার কার্জন হল ছাড়িয়ে দোয়েল চত্বর হয়ে বাংলা একাডেমী যেতে চোখে পড়ে মীর জুমলার তোরণ। এটি কখনো ময়মনসিং গেট, কখনো ঢাকা গেট আবার রমনা গেট নামেও অভিহিত।

১৪. বিবি মরিয়মের কামান: মীর জুমলা গেইটের পাশেই অবস্থা বিবি মরিয়মের কামানের। এটি মোগল শাসনামলের একটি বিশেষ নিদর্শন। এটি মীর জুমলার কামান নামেও পরিচিত। বাংলার সুবাদার মীর জুমলা আসাম অভিযানে এটি ব্যবহার করেছিলেন।

#ঢাবি #dhaka_tourist_places #dhaka
4 ماه پیش در تاریخ 1403/02/05 منتشر شده است.
375 بـار بازدید شده
... بیشتر