হার্ট ব্লক দূর করার ইসিপি থেরাপি কতবার নিতে হয় - অপারেশন ছাড়াই হার্ট ব্লক দূর করার উপায়
3.4 هزار بار بازدید -
3 سال پیش
-
হার্ট ব্লক দূর করার ইসিপি
হার্ট ব্লক দূর করার ইসিপি থেরাপি কতবার নিতে হয়? বলেছেনঃ
স্বনামধন্য হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এম এ বাকী, চেম্বারঃ জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল, ঢাকা, 01711647877, 01979241736 / ইবনে সিনা (ধানমন্ডি, ঢাকা) 01975886118, 10615
হার্ট একটি পাম্পিং অরগান। এর মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে রক্ত সংগ্রহ করে এবং সেই রক্তকে ফুসফুসে প্রেরণ করে এবং অক্সিজিনেশনের মাধ্যমে আবার হার্টে নিয়ে আসে এবং পিউর ব্লাডকে শরীরের বিভিন্ন অংশে প্রেরণ করে হার্ট। তাই হার্টের সুস্থতা জরুরি। কিন্তু হার্ট ব্লক কী?
হার্টের ইলেকট্রিক্যাল ব্লক বা হার্ট ব্লক বলতে কী বোঝায়? সঞ্চালকের এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. শফিকুর রহমান পাটওয়ারী বলেন, আমরা যেমন দেখি যে অনেক সময় রোগীদের যেটা স্বাভাবিক হার্ট রেট সিক্সটি থেকে নাইনটি থাকার কথা—কখনও কখনও দেখা যায় হার্টের রেট অনেক কমে যায়। কোনো কোনো পেশেন্টের আমরা দেখি থার্টি হয়ে যায়, কখনও ফোরটি হয়ে যায়। অনেক সময় দেখা যায় রোগীর মাথা ঘোরায়, অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছেন; হাঁটতে পারেন না, দুর্বল লাগে। এ ধরনের একটি সিচুয়েশন কিন্তু তৈরি হয়।
কেন হয় এটা? ডা. শফিকুর রহমান পাটওয়ারী বলেন, হার্টের যদি ঠিকমতো পাওয়ার তৈরি না হয়, তার ট্রান্সমিশন যদি না হয়, তাহলে হার্টের কিন্তু গতি কমে যাবে। হার্টের যদি গতি কমে যায়, তাহলে লেজি হয়ে যাবে। লেজি হয়ে গেলে মানুষটাও লেজি হয়ে যাবে। সে-ও চলতে পারবে না, দুর্বল লাগবে, মাথা ঘোরাবে, শুয়ে থাকতে মন চাইবে, অনেক সময় হার্ট বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এ রকম পরিস্থিতি হয়। তাহলে এই সিস্টেমের ভেতরে যদি কোথাও ডিস্টার্ব হয়, আমরা সাধারণত হার্ট ব্লক বলতে যেটা বুঝি, এবি নোড যেটা, এবি নোডের ভেতরে যে ট্রান্সমিশন হয়, এই ট্রান্সমিশনে যদি সমস্যা হয়, তখনই তাকে আমরা সাধারণ এবি ব্লক বলে থাকি। যেটা ফার্স্ট ডিগ্রি হার্ট ব্লক, সেকেন্ড ডিগ্রি হার্ট ব্লক, থার্ড ডিগ্রি হার্ট ব্লক বা কমপ্লিট হার্ট ডিগ্রি বলে থাকি মেডিকেল সায়েন্সের ধারণা অনুযায়ী।
আবার অ্যাসেনোড, যেখান থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়, সেখানেও কিন্তু সমস্যা হতে পারে। যাকে আমরা অ্যাসেনোডাল ডিজিজ বলি। অ্যাসেনোডাল থেকে এক্সিট ব্লক, অ্যাসেনোডেও কিন্তু ব্লক হয়। তখন কিন্তু ওখান থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হতে পারে না। হঠাৎ করে মানুষ অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে, এ রকম যদি পরিস্থিতি হয়। তাহলে দেখা যাচ্ছে, ইলেকট্রিক্যাল সিস্টেমের মধ্যেও যদি ব্লক হয়, ব্লকের জন্য হার্টের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। তার ভেতরে অন্যতম হার্টের রেট কমে যাওয়া। একেই আমরা ইলেকট্রিক ব্লক বা হার্ট ব্লক বলি।
হার্ট ব্লকের লক্ষণ :
হৃদপিণ্ডে বেশি পরিমাণে ব্লক থাকলে বুকে ব্যথা হয়। আস্তে আস্তে ব্যথা বাম হাতে ছড়িয়ে পড়ে। হাঁটার সময়, সিঁড়ি দিয়ে ওপরে ওঠার সময় বুকে ব্যথা হয়, থামলে ব্যথা কমে যায়।
দম নিতে ও ছাড়তে কষ্ট হয়।
বুকে জ্বালাপোড়া ও ধড়ফড় করে।
গলা, কপাল ও মাথা ঘাম হওয়া।
নিচের দিকে হেলে কিছু করার ও একটু ভারী কিছু বহনের সময় কষ্ট হয়।
খাবার হজম না হওয়ার মতো অস্বস্তি লাগে।
হার্ট ব্লকের কারণ:
রক্তনালীতে চর্বিজাতীয় বস্তু খুব ধীরে ধীরে জমা হতে থাকে। তাই হার্ট ব্লক খুবই ধীরগতিতে বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। যেমন ধরুন একটি ব্লক ১০% থেকে বৃদ্ধি পেতে পেতে ৮০%-এ পৌঁছাতে ব্যক্তিভেদে ১০ থেকে ৩০/৪০ বছর সময় লাগতে পারে। তাই বলা হয়ে থাকে, ব্যক্তি হার্ট ব্লক নিয়ে দীর্ঘসময় সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে।
হার্ট ব্লকের সংখ্যা এবং পারসেন্টেজ একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় না পৌঁছানো পর্যন্ত রোগী কোনোরূপ শারীরিক অসুস্থতা বোধ করেন না। হার্ট ব্লকের কারণে রোগীর হার্টের রক্ত সরবরাহের স্বল্পতা দেখা দেয়। হার্ট ব্লকের (%) পার্সেন্টেজ বৃদ্ধি পেলে ব্লকের ভাটির দিকের অংশে রক্ত সরবরাহ কমে যায়।
ফলশ্রুতিতে প্রাথমিক পর্যায়ে পরিশ্রম বা টেনশনকালীন সময়ে রক্ত সরবরাহের ঘাটতি দেখা দেওয়ায় এ সময়ে রোগী বুকে চাপ, ব্যথা, বুক ধড়ফড় বা সহজে হয়রান বা পেরেশান হয়ে পড়েন। তবে দিনে দিনে রোগী ঘনঘন এসব অসুবিধায় পতিত হয়ে থাকেন। এভাবে বেশ কিছু বছর চলে যেতে পারে। দিনে দিনে ব্লকের তীব্রতা (পার্সেন্টেজ) বৃদ্ধি পেয়ে অসুস্থতাকে আরও জটিল করে তোলে। হার্ট অ্যাটাক বা হার্ট স্ট্রোক এক ধরনের মারাত্মক অসুস্থতা।
যার ফলশ্রুতিতে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে এবং চিকিৎসা খুবই দ্রুততার সঙ্গে নিতে হয়। প্রায় সময়ই রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হয়। বহুবিধ কারণে হার্ট ব্লকের চর্বিজাতীয় বস্তুতে রক্তক্ষরণ ঘটতে পারে। তাতে প্রদাহ দেখা দিতে পারে অথবা চর্বি জাতীয় বস্তুর ওপর রক্ত জমাট বেঁধে রক্তনালীতে রক্তপ্রবাহ সম্পূর্ণরূপে বা মারাত্মক পর্যায়ে বন্ধ করে দিতে পারে।
যার ফলে ওই ব্লকের ভাটির দিকের অংশে রক্ত সরবরাহ মারাত্মক পর্যায়ে কমে যাওয়ায় হার্টের ওই অংশের মাংসপেশি অক্সিজেন ও খাদ্য সরবরাহ থেকে বঞ্চিত হয়ে অকেজো হয়ে যায়। ফলশ্রুতিতে হার্টের পাম্পিং পাওয়ার কমে যায়। হার্ট শারীরিক চাহিদা মাফিক পাম্প করে রক্ত সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়। রক্ত সরবরাহ মারাত্মক পর্যায়ে কমে গিয়ে রোগীর মৃত্যুও ঘটে।
হাসপাতালে হার্ট অ্যাটাক নিয়ে যত রোগী ভর্তি হন তার মধ্যে অর্ধেক সংখ্যক রোগীর আগে কোনো ধরনের হার্টের অসুস্থতা আছে তা তিনি কখনো জানতেন না বা বুঝতে পারেননি। বাকি অর্ধেক সংখ্যক রোগী আগে থেকেই হার্টের অসুস্থতায় ভুগতে ছিল বলে রোগীর জানা ছিল। এসব কিছু বিবেচনায় এনে এটা বলা যায় যে, হার্ট অ্যাটাক এক ধরনের দুর্ঘটনা।
অনেককে দেখা যায়, দীর্ঘ সময় মানে বহু বছর থেকে হার্টের অসুস্থতায় ভুগছেন কিন্তু কখনই হার্ট অ্যাটাক হয়নি। তবে এ কথা সত্য যে, হার্ট ব্লক ছাড়া খুব কমই হার্ট অ্যাটাক ঘটে থাকে অর্থাৎ যাদের হার্ট অ্যাটাক ঘটে থাকে তাদের প্রায় সবারই কোনো না কোনো পর্যায়ের হার্ট ব্লক থাকে, হতে পারে ব্লক প্রাথমিক পর্যায়ের বা জটিল পর্যায়ের। বর্তমানে হার্ট ব্লকে উপযুক্ত মেডিসিন গ্রহণের মাধ্যমে সুচিকিৎসা গ্রহণ করা যায়।
স্বনামধন্য হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এম এ বাকী, চেম্বারঃ জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল, ঢাকা, 01711647877, 01979241736 / ইবনে সিনা (ধানমন্ডি, ঢাকা) 01975886118, 10615
হার্ট একটি পাম্পিং অরগান। এর মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে রক্ত সংগ্রহ করে এবং সেই রক্তকে ফুসফুসে প্রেরণ করে এবং অক্সিজিনেশনের মাধ্যমে আবার হার্টে নিয়ে আসে এবং পিউর ব্লাডকে শরীরের বিভিন্ন অংশে প্রেরণ করে হার্ট। তাই হার্টের সুস্থতা জরুরি। কিন্তু হার্ট ব্লক কী?
হার্টের ইলেকট্রিক্যাল ব্লক বা হার্ট ব্লক বলতে কী বোঝায়? সঞ্চালকের এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. শফিকুর রহমান পাটওয়ারী বলেন, আমরা যেমন দেখি যে অনেক সময় রোগীদের যেটা স্বাভাবিক হার্ট রেট সিক্সটি থেকে নাইনটি থাকার কথা—কখনও কখনও দেখা যায় হার্টের রেট অনেক কমে যায়। কোনো কোনো পেশেন্টের আমরা দেখি থার্টি হয়ে যায়, কখনও ফোরটি হয়ে যায়। অনেক সময় দেখা যায় রোগীর মাথা ঘোরায়, অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছেন; হাঁটতে পারেন না, দুর্বল লাগে। এ ধরনের একটি সিচুয়েশন কিন্তু তৈরি হয়।
কেন হয় এটা? ডা. শফিকুর রহমান পাটওয়ারী বলেন, হার্টের যদি ঠিকমতো পাওয়ার তৈরি না হয়, তার ট্রান্সমিশন যদি না হয়, তাহলে হার্টের কিন্তু গতি কমে যাবে। হার্টের যদি গতি কমে যায়, তাহলে লেজি হয়ে যাবে। লেজি হয়ে গেলে মানুষটাও লেজি হয়ে যাবে। সে-ও চলতে পারবে না, দুর্বল লাগবে, মাথা ঘোরাবে, শুয়ে থাকতে মন চাইবে, অনেক সময় হার্ট বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এ রকম পরিস্থিতি হয়। তাহলে এই সিস্টেমের ভেতরে যদি কোথাও ডিস্টার্ব হয়, আমরা সাধারণত হার্ট ব্লক বলতে যেটা বুঝি, এবি নোড যেটা, এবি নোডের ভেতরে যে ট্রান্সমিশন হয়, এই ট্রান্সমিশনে যদি সমস্যা হয়, তখনই তাকে আমরা সাধারণ এবি ব্লক বলে থাকি। যেটা ফার্স্ট ডিগ্রি হার্ট ব্লক, সেকেন্ড ডিগ্রি হার্ট ব্লক, থার্ড ডিগ্রি হার্ট ব্লক বা কমপ্লিট হার্ট ডিগ্রি বলে থাকি মেডিকেল সায়েন্সের ধারণা অনুযায়ী।
আবার অ্যাসেনোড, যেখান থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়, সেখানেও কিন্তু সমস্যা হতে পারে। যাকে আমরা অ্যাসেনোডাল ডিজিজ বলি। অ্যাসেনোডাল থেকে এক্সিট ব্লক, অ্যাসেনোডেও কিন্তু ব্লক হয়। তখন কিন্তু ওখান থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হতে পারে না। হঠাৎ করে মানুষ অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে, এ রকম যদি পরিস্থিতি হয়। তাহলে দেখা যাচ্ছে, ইলেকট্রিক্যাল সিস্টেমের মধ্যেও যদি ব্লক হয়, ব্লকের জন্য হার্টের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। তার ভেতরে অন্যতম হার্টের রেট কমে যাওয়া। একেই আমরা ইলেকট্রিক ব্লক বা হার্ট ব্লক বলি।
হার্ট ব্লকের লক্ষণ :
হৃদপিণ্ডে বেশি পরিমাণে ব্লক থাকলে বুকে ব্যথা হয়। আস্তে আস্তে ব্যথা বাম হাতে ছড়িয়ে পড়ে। হাঁটার সময়, সিঁড়ি দিয়ে ওপরে ওঠার সময় বুকে ব্যথা হয়, থামলে ব্যথা কমে যায়।
দম নিতে ও ছাড়তে কষ্ট হয়।
বুকে জ্বালাপোড়া ও ধড়ফড় করে।
গলা, কপাল ও মাথা ঘাম হওয়া।
নিচের দিকে হেলে কিছু করার ও একটু ভারী কিছু বহনের সময় কষ্ট হয়।
খাবার হজম না হওয়ার মতো অস্বস্তি লাগে।
হার্ট ব্লকের কারণ:
রক্তনালীতে চর্বিজাতীয় বস্তু খুব ধীরে ধীরে জমা হতে থাকে। তাই হার্ট ব্লক খুবই ধীরগতিতে বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। যেমন ধরুন একটি ব্লক ১০% থেকে বৃদ্ধি পেতে পেতে ৮০%-এ পৌঁছাতে ব্যক্তিভেদে ১০ থেকে ৩০/৪০ বছর সময় লাগতে পারে। তাই বলা হয়ে থাকে, ব্যক্তি হার্ট ব্লক নিয়ে দীর্ঘসময় সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে।
হার্ট ব্লকের সংখ্যা এবং পারসেন্টেজ একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় না পৌঁছানো পর্যন্ত রোগী কোনোরূপ শারীরিক অসুস্থতা বোধ করেন না। হার্ট ব্লকের কারণে রোগীর হার্টের রক্ত সরবরাহের স্বল্পতা দেখা দেয়। হার্ট ব্লকের (%) পার্সেন্টেজ বৃদ্ধি পেলে ব্লকের ভাটির দিকের অংশে রক্ত সরবরাহ কমে যায়।
ফলশ্রুতিতে প্রাথমিক পর্যায়ে পরিশ্রম বা টেনশনকালীন সময়ে রক্ত সরবরাহের ঘাটতি দেখা দেওয়ায় এ সময়ে রোগী বুকে চাপ, ব্যথা, বুক ধড়ফড় বা সহজে হয়রান বা পেরেশান হয়ে পড়েন। তবে দিনে দিনে রোগী ঘনঘন এসব অসুবিধায় পতিত হয়ে থাকেন। এভাবে বেশ কিছু বছর চলে যেতে পারে। দিনে দিনে ব্লকের তীব্রতা (পার্সেন্টেজ) বৃদ্ধি পেয়ে অসুস্থতাকে আরও জটিল করে তোলে। হার্ট অ্যাটাক বা হার্ট স্ট্রোক এক ধরনের মারাত্মক অসুস্থতা।
যার ফলশ্রুতিতে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে এবং চিকিৎসা খুবই দ্রুততার সঙ্গে নিতে হয়। প্রায় সময়ই রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হয়। বহুবিধ কারণে হার্ট ব্লকের চর্বিজাতীয় বস্তুতে রক্তক্ষরণ ঘটতে পারে। তাতে প্রদাহ দেখা দিতে পারে অথবা চর্বি জাতীয় বস্তুর ওপর রক্ত জমাট বেঁধে রক্তনালীতে রক্তপ্রবাহ সম্পূর্ণরূপে বা মারাত্মক পর্যায়ে বন্ধ করে দিতে পারে।
যার ফলে ওই ব্লকের ভাটির দিকের অংশে রক্ত সরবরাহ মারাত্মক পর্যায়ে কমে যাওয়ায় হার্টের ওই অংশের মাংসপেশি অক্সিজেন ও খাদ্য সরবরাহ থেকে বঞ্চিত হয়ে অকেজো হয়ে যায়। ফলশ্রুতিতে হার্টের পাম্পিং পাওয়ার কমে যায়। হার্ট শারীরিক চাহিদা মাফিক পাম্প করে রক্ত সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়। রক্ত সরবরাহ মারাত্মক পর্যায়ে কমে গিয়ে রোগীর মৃত্যুও ঘটে।
হাসপাতালে হার্ট অ্যাটাক নিয়ে যত রোগী ভর্তি হন তার মধ্যে অর্ধেক সংখ্যক রোগীর আগে কোনো ধরনের হার্টের অসুস্থতা আছে তা তিনি কখনো জানতেন না বা বুঝতে পারেননি। বাকি অর্ধেক সংখ্যক রোগী আগে থেকেই হার্টের অসুস্থতায় ভুগতে ছিল বলে রোগীর জানা ছিল। এসব কিছু বিবেচনায় এনে এটা বলা যায় যে, হার্ট অ্যাটাক এক ধরনের দুর্ঘটনা।
অনেককে দেখা যায়, দীর্ঘ সময় মানে বহু বছর থেকে হার্টের অসুস্থতায় ভুগছেন কিন্তু কখনই হার্ট অ্যাটাক হয়নি। তবে এ কথা সত্য যে, হার্ট ব্লক ছাড়া খুব কমই হার্ট অ্যাটাক ঘটে থাকে অর্থাৎ যাদের হার্ট অ্যাটাক ঘটে থাকে তাদের প্রায় সবারই কোনো না কোনো পর্যায়ের হার্ট ব্লক থাকে, হতে পারে ব্লক প্রাথমিক পর্যায়ের বা জটিল পর্যায়ের। বর্তমানে হার্ট ব্লকে উপযুক্ত মেডিসিন গ্রহণের মাধ্যমে সুচিকিৎসা গ্রহণ করা যায়।
3 سال پیش
در تاریخ 1400/10/15 منتشر شده
است.
3,426
بـار بازدید شده