আনোয়ারায় জাবেদ ও ওয়াসিকার রাজনৈতিক ঘুর্ণিঝড় ! || সাবেক ভূমিমন্ত্রী | অর্থ প্রতিমন্ত্রী | bnanews24

Bnanews24
Bnanews24
16.7 هزار بار بازدید - 2 ماه پیش - বঙ্গোপসাগরে সামুদ্রিক ঘুর্ণিঝড় উঠেছে। এই
বঙ্গোপসাগরে সামুদ্রিক ঘুর্ণিঝড় উঠেছে। এই নিয়ে নানা শঙ্কা উৎকন্ঠা রয়েছে। এর মধ্যে বঙ্গোপসাগর লাগোয়া আনোয়ারা উপজেলায় দেখা দিয়েছে আরেক রাজনৈতিক ঘুর্ণিঝড়। বিএনপি অংশগ্রহণ না করায় সারাদেশে উপজেলা নির্বাচন নিরুত্তাপভাবে অনুষ্ঠিত  হলেও  আনোয়ারা উপজেলা নির্বাচন এর ব্যতিক্রম। ২৯ মে যতই ঘনিয়ে আসছে ততই উত্তাপ ছড়াচ্ছে। শুরু থেকে ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকলেও সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ সমর্থিত  উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম.এ মান্নান শেষ মর্হূতে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। যদিও  ব্যাটলে তার নাম ও প্রতীক থাকবে।
শেষ মর্হূতে এম. এ মান্নানকে প্রত্যাহার করে নেওয়া ও নতুন করে দুইবারের চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরীকে স্থানীয়  সংসদ সদস্য সমর্থন দেওয়ার ফলে ১২ জন চেয়ারম্যান যারা আগে  তৌহিদুল হক চৌধুরীর দূর্নীতি – অনিয়মের ফিরিস্তি তুলে ধরে প্রকাশ্যে বক্তব্য দিয়েছেন, তারা এখন তাকে প্রসংশায় ভাসাচ্ছেন।  তাদের উদ্দেশ্য একটাই, বর্তমান অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান সমর্থিত প্রার্থী কাজী মোজ্জামেলকে পরাজিত করা। আর  এর মাধ্যমে অর্থ প্রতিমন্ত্রীকে আনোয়ারার  রাজনীতির নিয়ন্ত্রণ থেকে মাইনাস করার একটি কৌশল বলে মনে করেন স্থানীয় ভোটাররা।
 

আনোয়ারায় বিগত দুই উপজেলা নির্বাচন অনেকটা প্রতিদ্বন্দ্বীতাহীন হলেও নানা কারণে এবারের নির্বাচনে হাড্ডা হাড্ডি দ্বিমুখী লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। প্রথমবারের মত এবার প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আতাউর রহমান খান কায়ছারের কন্যা কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক অর্থ প্রতিমন্ত্রী হওয়ার পর এবারের নির্বাচনে তিনি একক প্রার্থী ঘোষণা করেছেন। আর তার সমর্থন পেয়ে ভোটের মাঠ দখলে মরিয়া সাবেক সভাপতি কাজী মোজাম্মেল হক আনারস প্রতীক নিয়ে।



এদিকে সাবেক ভূমিমন্ত্রী স্থানীয় সংসদ সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ প্রথমে অন্য প্রার্থীকে সমর্থন দিলেও পরে তিনি আস্থা রাখেন গত দুই বারের চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরীর উপর। এদিকে তাকে সমর্থন দেওয়ার পর উপজেলার ১২ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বর্তমান চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরীকে জেতাতে একাট্টা হয়েছেন। উপজেলার ১২ ইউনিয়নে প্রচারণায় মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন তারা।

দেখা যাচ্ছে তারা ইউনিয়ন থেকে ওয়ার্ড হাউজ ক্যাম্পেইন করে যাচ্ছে। এছাড়াও স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে  মতবিরোধ থাকলেও এমপির ঘোষণায় এক সাথে মাঠে চষে বেড়াচ্ছেন সিনিয়র থেকে মধ্যম সারির নেতাকর্মীরা। এদিকে জনসমর্থন ,শক্তি প্রদর্শনে প্রচারণা ও পথসভায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমন্ত্রীর সমর্থন পাওয়া আনারস প্রতীকের কাজী মোজাম্মেল হক।

তবে ভোটের মাঠে এখনো শক্ত একটা ভিত তৈরি করে আনারস প্রতীক নিয়ে লড়াইকে জমজমাট করে রেখেছেন  উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কাজী মোজ্জামেল। এই নির্বাচনে তৌহিদুল হক চৌধুরী ও কাজী মোজ্জামেলের মধ্যে ভোটের লড়াই সীমাবদ্ধ নেই। এটি পরিণত হয়েছে সাবেক ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ও  বর্তমান অর্থ প্রতিমন্ত্রী  ওয়াসিকা আয়াশা খানের প্রেস্টিজ ইস্যুতে।    


দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী বলেন, আনোয়ারার মানুষের অভিভাবক আখতাজ্জামান চৌধুরী বাবু পরিবার। তার সুযোগ্য সন্তান সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি আনোয়ারার মানুষের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন। তার পরামর্শে বিগত ১০ বছর আনোয়ারা উপজেলাকে আমি মডেল উপজেলায় রূপান্তর করেছি। তাকে  চেয়ারম্যান নির্বাচিত করে  আখতারুজ্জামান চৌধুরী  বাবু পরিবারের ইজ্জত রক্ষার আহ্বান জানান।



অন্যদিকে আনারস প্রার্থী  সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী মোজাম্মল বলেন, মানুষ বিগত নির্বাচনে ভোট দিয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থী নির্বাচিত করতে পারেনি। ফলে বিগত সময়ে আনোয়ারাবাসী কাঙ্খিত সেবা পায়নি। অনিয়ম-দূর্নীতির দুইবারের চেয়ারম্যান ও তার পছন্দের লোকজন মোটা- তাজা হয়েছে। মানুষ পরিবর্তন চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন এই অনিয়ম দূর্নীতি রুখে দিতেই তাকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করার পাশাপাশি অর্থপ্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খানের হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।

এই নির্বাচনে  চির বৈরি সাবেক ভুমিমন্ত্রী ও বর্তমান অর্থ প্রতিন্ত্রীর সরাসরি সমর্থিত প্রার্থী থাকায়    উভয় গ্রুপের কর্মী সমর্থকরা বেশ উত্তেজিত। তারা পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে এখন থেকে শক্তি প্রদর্শন শুরু করছেন। পাড়ায় পাড়ায় মোট সাইকেল দিয়ে মহড়া দিচ্ছেন। ফলে  সামপ্রতিক যেকোনো নির্বাচনের তুলনায় আনোয়ারায় এবারের উপজেলা নির্বাচনকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছে নির্বাচন কমিশন।  ৭৪টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে অন্তত  ৩৬টি কেন্দ্র  খুবই ঝুঁকিপূর্র্ণ হিসাবে চিহ্নিত করেছে স্থানীয় প্রশাসন। সেকারণে  কেন্দ্রগুলোতে। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসাবে থাকবে বিজিবি ও র‌্যাব। ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তায় ৩শ’ পুলিশ রাখার কথা থাকলেও অতিরিক্ত হিসাবে চাওয়া হয়েছে আরো ৩ শতাধিক পুলিশ। বাড়ানো হচ্ছে ম্যাজিস্ট্রেটের সংখ্যা। সব মিলিয়ে ভোটের দুই দিন আগে থেকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় ঢাকা থাকবে আনোয়ারা।
2 ماه پیش در تاریخ 1403/03/06 منتشر شده است.
16,746 بـار بازدید شده
... بیشتر