Must Listen Qari Ismail Noori Surah Ta Ha Excellent recitation

পাছ-আনফাস অর্থাৎ শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে খেয়ালে لا اله এবং الا الله অথবা الله এই যিকির করতে হয়। প্রত্যেক জিনিসের জাহির-বাতিন রয়েছে পাছ-আনফাস যিকিরেরও জাহির-বাতিন রয়েছে। শ্বাস ফেলার সময় لا اله  এবং শ্বাস টানার সময়  الا الله খেয়ালে থাকতে হয়।
আমরা জানি, পানি ছাড়া মানুষ অনেক সময় বাঁচলেও অক্সিজেন ছাড়া মানুষ বাঁচে না। শ্বাসের সাথে আমরা যে অক্সিজেন টানি তা শরীরের শেষ সীমান্তে রক্ত প্রবাহের সাথে পৌঁছে দেয়, আর প্রশ্বাসের সাথে দৈহ থেকে পরিত্যক্ত কার্বন ডাই-অক্সাইড বের করে শরীরের বাইরে ফেলে দেয়। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য অক্সিজেন গ্রহণ যেমন জরুরী- কার্বন ডাই-অক্সাইড ত্যাগ করাও জরুরী। অক্সিজেন গ্রহণ ও কার্বন ডাই-অক্সাইড ত্যাগ করার কঠিন কাজটি করে মূলত ফুসফুস ও হৃদপি- এবং এর মাধ্যম রক্ত। কোনো ব্যক্তির চারিত্রিক ত্রুটি দেখলে সবাই রক্তকে দোষারোপ করে। জাহিরীভাবে রক্ত শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে পরিশুদ্ধ হয়ে থাকে। আধ্যাত্মিকভাবে পাছ-আনফাস উনার ক্রিয়া একটু বিশ্লেষণ করা যাক।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে রয়েছে, মানুষ পাপ করলে ক্ব¡লবে একটি কালো দাগ পড়ে। পাপ করতে করতে ক্বলবে কালো দাগের প্রলেপ পড়ে যায় অর্থাৎ ক্বলব বাতিনীভাবে নষ্ট হয়ে যায়। যেহেতু রক্ত সঞ্চালণের মূল যন্ত্রই ক্বলব। নষ্ট ক্বলব রূহানীভাবে রক্তকে কলুষিত করে ফেলে। এজন্যই মানুষ ‘রক্তের দোষ’ শব্দটি ব্যবহার করে থাকে। ‘লা ইলাহা’ খেয়াল করে শ্বাস ত্যাগ করলে রক্তের কণিকায় েিয পাপের লিখন থাকে তা দূর হয়। কুফরী, শিরকী ও পাপ দূর হয়। আবার ‘ইল্লাল্লাহু’ খেয়ালে শ্বাস টানলে মহান আল্লাহ পাক উনার নাম মুবারক শক্তিতে রক্ত কণিকা আরো শুদ্ধ হয়। এভাবে রক্তের কণিকাগুলো যিকিরের সাথে পাপ মুক্ত হতে থাকে এবং ক্বলবের কালো দাগগুলোও মিটিয়ে ফেলে। সুতরাং সার্বক্ষণিক পাছ-আনফাস যিকির চললে ক্বলবে বা রক্ত কণিকায় পাপ-পঙ্কিলতা জমে না। সালিক আত্মশুদ্ধি লাভ করে। পাস-আনফাস যিকিরটি প্রাথমিক এবং ক্বলব পরিষ্কারের একটি অন্যতম যিকির। রাজারবাগ দরবার শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি সালিককে এই পাছ-আনফাস যিকির দিয়ে থাকেন। সুবহানাল্লাহ!