পলাশীর যুদ্ধের পর মোহনলাল কোথায় আত্মগোপন করেছিলেন? || Mohanlal after the battle of Plassey.

Manas Bangla
Manas Bangla
236.7 هزار بار بازدید - 4 سال پیش - অনেকেই মনে করেন পলাশীর যুদ্ধের
অনেকেই মনে করেন পলাশীর যুদ্ধের পর মোহনলাল ধরা পড়েছিলেন এবং তাকে মেরে ফেলা হয়েছিল অনেক ইতিহাসবিদও লিখেছেন সেই কথা কিন্তু সত্যিই কি মারা গিয়েছিলেন মোহনলাল? আজ আমরা শুনব সেই কথা। পলাশীর যুদ্ধের পর কি হয়েছিল কোথা থেকে কোথায় চলে গিয়েছিলেন মোহনলাল সেই কথা জানব আজকের এই ভিডিওতে। পলাশীর যুদ্ধের পর মোহনলাল সিরাজুদুল্লার পুত্রকে নিয়ে ময়মনসিংহের জমিদারবাড়িতে দত্তক রাখার ব্যবস্থা করে অজ্ঞাতবাসে চলে যান কারণ তিনি জানতে পেরেছিলেন তাকে ধরার জন্য মীরজাফরের গুপ্তচরদের বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হয়েছে। মীরজাফরের সিংহাসন প্রাপ্তিকে মসৃণ করার জন্য মীরজাফরের ছেলে মীরণএক দীর্ঘ তালিকা প্রস্তুত করে এবং অনেককেই নিশংস ভাবে হত্যা করে তাদের মধ্যে মোহনলালের বড় ছেলে শ্রীমন্ত লাল ও ছিলেন কিন্তু কনিষ্ঠপুত্র হুক্কালাল পালিয়ে আত্মরক্ষা করতে সক্ষম হন।  মোহনলালের জীবন সম্পর্কে নানা কাহিনী মুর্শিদাবাদ নদিয়া বর্ধমান হুগলি জেলার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে আছে। ঔপনিবেশিক আমলে এইসব কাহিনী সংগ্রহ করা ছিল অত্যন্ত বিপদজনক তার ফলে আঠারো শতকের বাংলার অনেক খবর হারিয়ে যায় যেসব খবর সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছিল তা নির্ভর করে মোহনলালের জীবনের শেষ দিনগুলো সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পাওয়া যায়। সিরাজের পুত্রের বংশধর পরিবার সূত্রে জানা যায় যে মোহনলাল তার ভাগ্নে অর্থাৎ সিরাজ পুত্র কে  ময়মনসিংহের জমিদারি তে দত্তক রেখে রংপুরে চলে যান। মোহনলাল ইংরেজ কোম্পানির প্রাধান্য বিস্তারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন তিনি নিজে যুদ্ধবিদ্যায় পারদর্শী ছিলেন। নবাব আলীবর্দী ও নবাব সিরাজউদ্দৌলার সেনাবাহিনীতে যাদব সম্প্রদায়ের বহু মানুষ ছিলেন সিরাজের পতনের পর তারা নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। যাদব সম্প্রদায়ের দক্ষ লাঠিয়ালদের মধ্য থেকেই সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হতো। বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার মুসলিম সম্প্রদায় থেকেও বহু সৈন্য সংগ্রহ করা হয়েছিল। পলাশীর যুদ্ধের পর তারা অনেকেই বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে।  নবাবের প্রতি বিশ্বস্ত সেনাবাহিনীর বিভ্রান্ত ও বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়া সৈনিকদের বিষয়ে প্রকৃত তথ্য সংগ্রহ করা খুবই কষ্টকর ছিল। জানা যায় মোহনলাল তার অনুগামীদের নিয়ে ইংরেজ কোম্পানির বিরুদ্ধে বিরোধিতা করতে উদ্যোগী হন। উত্তরবঙ্গের বিশেষ করে রংপুরে বিস্তীর্ণ অঞ্চল বনজঙ্গলে ভরা ছিল। সুতরাং মোহনলালের পক্ষে এই স্থান দখল করার পক্ষে উপযোগী ছিল। অনেকে  মনে করেন বঙ্কিমচন্দ্রের দেবী চৌধুরানী উপন্যাসের ভবানী পাঠকই হলেন ছদ্মবেশী মোহনলাল।
যদিও  ১৭৯০ খ্রিস্টাব্দের দিকে যারা সন্ন্যাসী ও ফকির বিদ্রোহ সম্পর্কে লিখেছেন তারা সবাই প্রধানত সরকারি তথ্যের উপর নির্ভর করে এই বিদ্রোহের বিষয়ে আলোকপাত করেছেন তারা পলাশীর যুদ্ধের পরের গতিবিধি সম্পর্কে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য না পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই তাকে ভবানী পাঠক বলে চিহ্নিত করেননি তারফলে মোহনলালই ভবানী পাঠক ছিলেন কিনা জোর গলায় সেটা বলা সম্ভব নয়।যাদব সম্প্রদায়ের সংগৃহীত তথ্য  জানা যায় মোহনলাল পলাতক অবস্থায় নদীয়া,  বর্দ্ধমান ও হুগলি জেলার বিভিন্ন স্থানে ছিলেন। এইসব স্থানের প্রাচীন মন্দিরে তিনি সন্যাসীর বেশে থাকতেন।  নদীয়া জেলার জুরানপুর এর কালিপীঠে তিনি ছিলেন। কালীপীঠ ছিল প্রাচীন বাংলার শক্তি সাধনার কেন্দ্র। মোহনলাল নিজেও শাক্ত ছিলেন। জুরানপুরের সতীপীঠের গর্ভগৃহে নিরাপদ আশ্রয়ে থেকে শতাধিক গ্রামের যুবকদের যুদ্ধবিদ্যায় পারদর্শী করেছিলেন। ছিয়াত্তরের মন্বন্তরের সময়ে তাদের নিয়ে তিনি ইংরেজ কোম্পানির রাজস্ব লুণ্ঠন করে দুর্ভিক্ষ পীড়িত দের মধ্যে বন্টন করে ঐ এলাকার সাধারণ মানুষদের রক্ষা করার চেষ্টা করেন। কিন্তু ইংরেজ শাসকরা তাদের বজরা লুঠের হদিস পায়নি তার ফলে বাংলায় কোম্পানির শাসন শুরু হবার পর ওই এলাকাকে সন্ত্রাস কবলিত এলাকা বলে চিহ্নিত করা হত এই কারণে এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের স্বাধীনতা প্রাপ্তির পূর্ব পর্যন্ত দুর্ভোগ পেতে হয়েছিল।
আরেকটি কাহিনী প্রচলিত আছে।মোহনলাল তার জীবনের শেষদিন গুলি গুপ্তিপাড়ার শ্রী শ্রী বৃন্দাবন চন্দ্র জীও মঠে কাটান।এই মঠের সামনে একটি স্তম্ভ পলাশীর যুদ্ধের বীর মোহনলালের স্মৃতি আজও বহন করে চলেছে। গুপ্তিপাড়ার বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও এমন কথা মনে করেন যে জীবনের শেষদিন গুলি মোহনলাল জুরানপুর থেকে এখানে এসে একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে থাকেন এবং জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ছিলেন।
সুতরাং মোহনলালের পলাতক জীবনের শেষ দিন গুলি সম্বন্ধে নানা কাহিনী পাওয়া যায় তিনি ছিলেন আঠারো শতকের ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামরত এক উজ্জ্বল ব্যক্তি বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলা মোহনলালের উপর নির্ভর করতেন। তাছাড়া তিনি নবাবের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ও ছিলেন। পলাশীর যুদ্ধে মিরমদন নিহত হওয়ার পরও তিনি  যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও মীরজাফরের ষড়যন্ত্রএ সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।

#মোহনলাল#Mohanlal#Sirajuddaula#সিরাজুদ্দৌলা#মুরশিদাবাদ#Who_was_the_son_of_Sirajudullah?#Who_is_the_father_of_Nawab_Sirajuddaula?#Who_is_the_son_of_Ghaseti_Begum?#How_did_Sirajuddaula_died?#lutfunnisa_begum#alivardi_khan#ghaseti_begum#mirjafar#battle_of_plassey#siraj_ud_daulah_first_wife#siraj_ud_daulah_wife#nawab_of_bengal#সিরাজউদ্দৌলা_নাটক#নবাব_সিরাজউদ্দৌলা_নাটক_ডাউনলোড#সিরাজউদ্দৌলার_হত্যাকারী_কে#নবাব_সিরাজউদ্দৌলাকে_কে_হত্যা_করেন#সিরাজউদ্দৌলার_স্ত্রীর_নাম_কি#নবাব_সিরাজউদ্দৌলার_পিতার_নাম_কী?#লুৎফুন্নেসা_বেগম#সিরাজউদ্দৌলা_নাটকের_সংলাপ

Copyright Disclaimer under section 107 of the Copyright Act of 1976, allowance is made for “fair use” for purposes such as criticism, comment, news reporting, teaching, scholarship, education and research. Fair use is a use permitted by copyright statute that might otherwise be infringing.”
4 سال پیش در تاریخ 1399/01/13 منتشر شده است.
236,774 بـار بازدید شده
... بیشتر