হেবা বা দান দলিল কাকে কাকে করা যায়।হেবা বা দান দলিল কি? কে কাকে হেবা দলিল করতে পারে? সহজ আইন।।

সহজ আইন
সহজ আইন
107.5 هزار بار بازدید - 3 سال پیش - প্রিয় দর্শক আমি এই পর্বে
প্রিয় দর্শক আমি এই পর্বে আলােচলা করেছি, দান বা হেবা কাকে বলে? হেবার শর্ত কি? আপনি কাকে কাকে হেবা করেত পারবেন? হেবা কাকে বলে? কোনো মুসলমান অন্য কোনো মুসলমানকে কোনো বিনিময় ব্যতিরেকে কোনো সম্পত্তি হস্তান্তর করলে তাকে হেবা বলে। হেবা সম্পন্ন করার জন্য তিনটি বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ-হেবার প্রস্তাব, গ্রহীতার সম্মতি এবং দখল হস্তান্তর। স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি হেবা করা যায়। একজন সুস্থ ও প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি তাঁর সমুদয় সম্পত্তি বা সম্পত্তির যেকোনো অংশ যে কাউকে হেবা করতে পারেন। সম্পত্তির আয় জীবনকালীন ভোগ করার অধিকার হেবা করা যায়।দান কাকে বলে?১৮৮২ সালের সম্পত্তি হস্তান্তর আইন অনুযায়ী কোনো স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি স্বেচ্ছায় কোনো মূল্য বা বিনিময় ব্যতিরেকে অন্যকে দেওয়াকে দান বলে। দানের জন্য গ্রহীতার সম্মতির প্রয়োজন। স্থাবর সম্পত্তি দান করতে হলে কমপক্ষে দুজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে রেজিস্টার্ড দলিলের মাধ্যমে করতে হবে। অস্থাবর সম্পত্তি রেজিস্টার্ডদলিল বা দখল হস্তান্তরের মাধ্যমে সম্পন্ন করা যায়।হেবা বাতিল করা যায় কি?দখল হস্তান্তরের আগে হেবা বাতিল করা যায়। দখল হস্তান্তরের পরও নম্নিলিখিত ক্ষেত্র ছাড়া হেবা বাতিল করা যায়। তবে এ ক্ষেত্রে কোর্টের ডিক্রি বা নির্দেশ প্রয়োজন হবে-১. স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে বা স্ত্রী কর্তৃক স্বামীকে দান।২. দাতা ও গ্রহীতার মধ্যে বিবাহের অযোগ্য সম্পর্ক বিদ্যমান থাকলে।৩. গ্রহীতা মৃত্যুবরণ করলে।৪. বিক্রয়, দান বা অন্য কোনো প্রকারে ওই সম্পত্তি গ্রহীতা কর্তৃক হস্তান্তরিত হয়ে থাকলে।৫. বিক্রয়, বস্তু হারিয়ে গেলে বা ধ্বংস হয়ে গেলে।৬. দানকৃত সম্পত্তির মূল্য বেড়ে থাকলে।৭. সম্পত্তির প্রকৃতি এমনভাবে পরিবর্তন করা, যা চেনা যায় না।৮. দাতা যদি কোনো বিনিময় গ্রহণ করে থাকেন।হেবা বিল এওয়াজকোনো কিছুর বিনিময়ে হেবা করাকে হেবা বিল এওয়াজ বলে। এটার বৈশষ্ট্যি ঠিক বিক্রয়ের মতো। কাজেই হেবা বিল এওয়াজ সম্পাদনের জন্য দখল হস্তান্তর বাধ্যতামূলক নয়। এ ক্ষেত্রে বিনিময়টি যুক্তিযুক্ত বা পর্যাপ্ত হওয়ার প্রয়োজন নেই। আমাদের দেশে প্রায়ই একটি জায়নামাজ বা এক ছড়া তসবিহ বা একটি কোরআন শরিফের বিনিময়ে হেবা বিল এওয়াজ করা হয়। যেহেতু এটার বৈশষ্ট্যি বিক্রির মতো, কাজেই ১০০ টাকার ঊর্ধ্ব মূল্যমানের সম্পত্তি রেজিস্ট্রি করতে হয় এবং এই হেবার পরিপ্রেক্ষিতে প্রিয়েমশন করা যাবে। তবে শরিয়ত মোতাবেক জায়নামাজ, তসবিহ বা কোনআন শরিফের মূল্য নির্ধারণ করা যায় না, কাজেই অনুরূপ বিনিময়ে প্রিয়েমশন করা সম্ভব হয় না।হেবা বা শর্ত-উল-এওয়াজআরেক রকম হেবা আছে, যাকে হেবা বা শর্ত-উল-এওয়াজ বলাহয়। বিনিময় প্রদানের শর্তযুক্ত হেবাকে হেবা বা শর্ত-উল-এওয়াজ বলে। হেবা বা শর্ত-উল-এওয়াজ মূলত দান। এটা সম্পাদন হওয়ার জন্য দখল হস্তান্তর আবশ্যক। বিনিময় প্রদানের আগে এটা বাতিলও করা যায়।এ ক্ষেত্রে প্রিয়েমশন চলে না।মুত্যুর পূর্ব মুহুর্তে সম্পত্তি দান করামৃত্যুশয্যাকালীন দানের ক্ষেত্রে হেবার শর্ত অনুযায়ী প্রস্তাব, সম্মতি এবং সম্পত্তির দখল হস্তান্তর প্রয়োজন। তবে মৃত্যুশয্যাকালীন দান উইলের নিয়ম অনুযায়ী দাফন-কাফনের খরচ ও ঋণ বাদে বাকি সম্পত্তির এক-তৃতীয়াংশের বেশি করা যাবে না এবং কোনো উত্তরাধিকারীকে করা যাবে না। মৃতু্যর আগমূহুর্তে মানুষের মন খুবই দুর্বল থাকে, তাই এই দানে এমন শর্ত যুক্ত করা হয়েছে। তবে দাতার মৃতু্যর পর তাঁর উত্তরাধিকারীরা এক-তৃতীয়াংশের বেশি বা উত্তরাধিকারী বরাবর এরূপ দানে সম্মতি দিলে তা বৈধ হবে। যে অসুখে মৃত্যু হয়, তার জন্য শয্যা নেওয়াই মৃত্যুশয্যা। এখানে মৃত্যুভীতি গুরুত্বপূর্ণ। ধারণা করা হয়, এক বছর ধরে কোনো রোগে ভুগলে আর মৃত্যুভীতি থাকে না, কাজেই সে ক্ষেত্রে মারজ-উল-মউতের প্রশ্ন আসে না।জন্মগ্রহণ করেনি এমন শিশুকে হেবাদান বা হেবার ক্ষেত্রে তাত্ক্ষণিকভাবে দানকৃত সম্পত্তির দখল হস্তান্তর করতে হয়। যার জন্ম হয়নি, তাকে যেহেতু তাত্ক্ষণিক হস্তান্তর করা সম্ভব নয়, কাজেই জন্ম হয়নি এমন কাউকে হেবা করা যায় না।ভিন্ন ধর্মাবলম্বীকে হেবাভিন্ন ধর্মাবলম্বীকে দানে আইনগত কোনো বাধা নেই। তবে একজন মুসলমান ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক অন্য একজন মুসলমানকে যে দান করেন, তা হচ্ছে হেবা; এই হেবা শুধু দুজন মুসলমানের মধ্যেই হতে পারে।হেবাকৃত সম্পত্তির নামজারিহেবার জন্য লিখিত কাগজের প্রয়োজন নেই। হেবাকৃত সম্পত্তি নামজারি করতে হলে দখল, স্থানীয় তদন্ত ও সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে হেবা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা নামজারি করতে পারেন। দখল হস্তান্তরের উত্কৃষ্ট প্রমাণ নামজারি। দলিলে হস্তান্তরের বিষয়টি উল্লেখ করলেওতা দখল হস্তান্তরের প্রমাণ নয়।জনৈক রফিকুল্লাহ তাঁর ছেলের স্ত্রী নূরজাহান বেগমকে ১৯১৬ সালে লিখিত দলিলের মাধ্যমে একটি সম্পত্তি হেবা করেন। ১৯৪২ সাল পর্যন্ত জমিটি মিউটেশন হয়নি। মিউটেশন প্রসিডিং চলাকালে রফিকুল্লাহ মৃতু্যবরণ করেন। এ বিষয়ে কোর্ট সিদ্ধান্ত প্রদান করে যে হেবা করা হয়েছে, গ্রহীতা সম্মতি দিয়েছে; তবে দখল হস্তান্তরের বিষয়টি প্রমাণিত হয়নি। হেবা করার পর রফিকুল্লাহ জমিটির দখলে ছিল এবং গ্রহীতা দূরে থাকার কারণে বাস্তব দখল গ্রহণ সম্ভব ছিল না। কোর্ট সিদ্ধান্ত প্রদানকরে যে হেবাটি সম্পন্ন হয়নি বিধায় তা বাতিল।লিখিত দলিল ও রেজিস্ট্রি দলিল ছাড়া হেবা করা যায় কি?মুসলিম আইন অনুযায়ী হেবা করতে লিখিত দলিলের প্রয়োজন নেই, রেজিস্ট্রি করারও প্রয়োজন নেই। তবে লিখিত দলিল থাকলে বা রেজিস্ট্রি করলে তা প্রমাণে সহজ হয়। তবে দানের ক্ষেত্রে লিখিত দলিল এবং তা রেজিস্ট্রি করা প্রয়োজন। হেবা দলিল বাতিলের জন্য আদালতে মামলা করে আদালতের রায় নিয়ে হেবা দলিল বাতিল করতে হবে। Contact Information Phone No- 01671-043256 Email- [email protected] Face book Page Link- https://www.facebook.com/shohozain/ Instagram Link- https://www.instagram.com/advocatelemon/ Twitter Link- https://twitter.com/AdvocateLemon
3 سال پیش در تاریخ 1400/02/02 منتشر شده است.
107,580 بـار بازدید شده
... بیشتر